College History1

আনোয়ারা-ম ান্নাফ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ,প্লট-৪,রোড - ৬/এ (সংলগ্ন),সেক্টর-৫ ,দলিপাড়া,উত্তরা ,ঢাকা-১২৩০ - এ অবস্থিত একটি আধুনিক নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি আফসার গ্রুপ বাংলাদেশের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান । মেজর (অব.)খন্দকার নূরুল আফসার প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ।

*** মেজর খন্দকার নূরুল আফসার ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ গ্রামের খন্দকার বাড়ির এক সম্ভ্রান্ত  মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা মরহুম খন্দকার আব্দুল মান্নাফ ছিলেন এক জন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মাতা আনোয়ারা  খানম ছিলেন একজন গৃহিনী। দশ ভাই বোনের মধ্যে মেজর(অব:)  খন্দকার নূরুল আফসার ছিলেন সপ্তম । নারী শিক্ষা প্রসারের কথা চিন্তা করে তিনি তাঁর মরহুম পিতা মাতার নামে দলিপাড়ায় অবস্থিত। পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত। ৬৬ শতাংশ জমিতে একটি নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার মনস্থির করেন । ২০০৯ সালের ১২ জানুয়ারি প্রশাসনিক কর্মকর্তা ওয়ারেন্ট অফিসার(অব:) আলহাজ্ব মো.মোফাজ্জল হোসেন কে নিয়ে এক সাধারণ সভার  মাধ্যমে কলেজের যাত্রা শুরু হয় এবং তাঁর মায়ের নামানুসারে বিদ্যালয়ের নাম “দলিপাড়া আনোয়ারা বালিকা বিদ্যালয়”রাখা হয়। পরবর্তীকালে ইহাকে আনোয়ারা-মান্নাফ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে উন্নীত করা হয়েছে।
** ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় “আনোয়ারা-মান্নাফ ফাউন্ডেশন” এবং এর অধীনে কলেজটি পরিচালিত হয়। ঐ বছরই মেজর (অব.) খন্দকার নূরুল আফসার তাঁর বড় বোন নিলুফার আখতারকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে ৩ জন শিক্ষিকা (ফারহানা বেগম, নিলুফার নিশাত এবং মুক্তি বেগম), ১জন আয়া,১ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়ে প্লে, নার্সারি এবং কেজি শ্রেণিতে মোট ৩৭ জন ছাত্র-ছাত্রী সংগ্রহ করে বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু করেন । ঐ বছরই অর্থাৎ ২০০৯সালের ডিসেম্বর মাসে অধ্যক্ষ মো.সাইফুল ইসলাম এবং কিছু সংখ্যক (প্রায় ১৪ জন) বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করেন।২০০৯ সালে ৩৭ জন শিক্ষার্থী বার্ষিক পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয় এবং পরবর্তীতে ২০১০ সালে বাসায় বাসায় গিয়ে ছাত্রী সংগ্রহের মাধ্যমে ঐ ৩৭ জন সহ মোট ১৩১ জন শিক্ষার্থী প্লে থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রী ভর্তি করানো হয়। ২০০৯-১০ সালে বিদ্যালয় ভবনটি ছিল টিনসেডের লম্বা একটি ঘর। পরবর্তীকালে ২০১১ সালে মাঠের উত্তর পাশে আরও একটি টিনসেডের লম্বা ঘর তৈরি করা হয়। ব্যক্তিগত কারণে ২০১১ সালে অধ্যক্ষ মো.সাইফুল ইসলাম অবসর নেন এবং পরবর্তীসময়ে ৩০ এপ্রিল ২০১১ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন স্কোয়াড্রন লীডার (অব.) মো.নূরকুতুব-উল আলম । ঐ সময় থেকেই কলেজ শাখা খোলার জন্য বোর্ডে যোগাযোগ শুরু করেন এবং ০৮মে ২০১১ ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে কলেজ শাখায় বিজ্ঞান ,মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা খোলার আবেদন করেন । ২১ মে ২০১১ ঢাকা শিক্ষাবোর্ড হতে পরিদর্শক কলেজ পরিদর্শনে আসেন এবং ০৮জুন ২০১১ ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এই কলেজে বিজ্ঞান ,মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখাসহ একাদশ শ্রেণি খোলার অনুমতি প্রদান করে । এই কলেজের কোড নং -১১৮৯ এবং ঊওওঘ -১৩৪৫৮৭। প্রথম বছর ৩২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কলেজ শাখার যাত্রা শুরু হয়। ২০১১ সালের শুরুতে স্কুল শাখায়  ২৫২ এবং কলেজ শাখায় ৩০ জন সহ মোট ২৮৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয় । পর্যায়ক্রমে ২০১২ সালে ৩৮৪ জন ,২০১৩ সালে ৪৩২ জন এবং ২০১৫ সালে ৪৩৫ জন ভর্তি হয়।
** ২০১৩ সালেই মাঠের পূর্ব পাশে চারতলা কলেজ ভবনের কাজ শুরু হয়। বর্তমানে ভবনটি চারতলা সম্পূর্ণ হয়েছে এবং ভবনটির ৩য় তলায় আবাসিক ছাত্রী হোস্টেল রয়েছে । স্থানীয় অভিভাবকদের দিক বিবেচনা করে এই প্রতিষ্ঠানে প্লে থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ছেলেমেয়ে উভয়ই এবং ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শুধু মেয়েরা পড়াশুনা করছে।
** ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে, ২০১০ সালে চঊঈ তে অ+ সহ শত ভাগ সাফল্য অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠান। ২০১১ সালে চঊঈতে -৯০%,ঔঝঈ তে -১০০% সাফল্য অর্জন করে। ২০১২ সালে চঊঈ, ঔঝঈ,ঝঝঈ তে অ+ সহ ১০০%সাফল্য অর্জন করে। ২০১৩ সালেও চঊঈ, ঔঝঈ,ঝঝঈ তে অ+ সহ ১০০%সাফল্য অর্জন করে। ২০১৩ সালে কলেজ শাখার প্রথম ব্যাচ ঐঝঈ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং অ+ সহ সাফল্য অর্জন করে। ২০১৪সালেও  চঊঈ, ঔঝঈ,ঝঝঈ এবং ঐঝঈ তে অ+ সহ প্রায় শত ভাগ সাফল্য অর্জন করে।
** ২০১৪ সালের শেষের দিকে অধ্যক্ষ স্কোয়াড্রন লীডার (অব.) মো.নূরকুতুব-উল আলম বিদায় নেন এবং নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন ক্যাডেট কলেজ থেকে অবসর নেওয়া প্রাক্তন ভাইসপ্রিন্সিপাল মো.আবুল হোসেন। বর্তমানে তিনি নানাবিধ সৃষ্টিশীল ও শিক্ষামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে  প্রতিষ্ঠানটিকে দক্ষতার সাথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

    Our Shift

Online Admission

Admission going on

Get admission from complete digital institute
Our institute are ready to serve you.

নোটিশ, নোটিশ (শুভ জন্মাষ্টমী),