লাইফ শাইন স্কুল-এ ছাত্রদের করণীয়............. ১। সর্ব শক্তিমান আল্লাহর নাম স্মরণ করিয়া কাজ আরম্ভ করিবে। ২। মাতা-পিতা, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও বড়দের শ্রদ্ধা করিবে। ৩। স্বদেশকে ভালোবাসিবে এবং স্বদেশের মঙ্গল সাধনের জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিবে ও নিজেকে গড়িয়া তুলিবে। ৪। গুরুজনকে সম্মান প্রদর্শন করিবে। ৫। সদা সত্য কথা বলিবে গুরুতর অপরাধ করিলেও মিথ্যা বলিবে না। ৬। অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করিবে, পাপ হতে দূরে থাকিবে। ৭। সদা সৎ চিন্তা করিবে। ৮। সকল বিষয়ে লোভ সংবরণ করিয়া চলিবে। ৯। অল্প নিদ্রা ও স্বল্প আহারে তুষ্ট থাকিবার অভ্যাস করিবে। ১০। অধ্যবসায়ী ও পরিশ্রমী হইবে, আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান হইয়া কাজ করিবে ও সফলতার জন্য আল্লাহর উপর ভরসা করিবে । ১১। নিয়মিত কাজ আরম্ভ হওয়ার ১০/১৫ মিনিট পূর্বে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হইবে। ইহার আগে বা পরে আদৌ আসিবে না। ১২। ছুটির ঘণ্টা বাজিবার পর ছাত্র-ছাত্রীগণ হৈ হুল্লোড় না করিয়া ধীরে ও শান্তভাবে বিদ্যালয়ের অঙ্গণ ত্যাগ করিবে। অযথা বিদ্যালয়ের বারান্দায় ও অঙ্গনে ঘোরা ফেরা করিবে না। ১৩। বিদ্যালয়ের নির্ধারিত পোষাক (ব্যাজসহ) পরিয়া বিদ্যালয়ে আসিবে। ১৪। সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও পাক পবিত্র থাকিবে। শরীর ও পোষাক পবিত্র রাখিবার জন্য সর্বদা সতর্ক থাকিবে। নখ কাটিয়া রাখিবে ছেলেরা মাথার চুল কাটিবে এবং মেয়েরা মাথার চুল কাটিবে না। ১৫। সমাবেশে শৃঙ্খলার সহিত যোগদান করিবে এবং পবিত্র কোরআন ও জাতীয় সংগীত পাঠে অংশ গ্রহণ করিবে। সমাবেশে কথা বলিবে না। ১৬। নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসিবে, কখনো বিদ্যালয় হইতে পালিয়ে যাইবে না। ১৭। শৃঙ্খলা বজায় রাখিয়া শ্রেণি শিক্ষকের ও মনিটরের আদেশ মানিয়া চলিবে। ১৮। প্রত্যেক পিরিয়ড শেষে শিক্ষক পরিবর্তনের সময় আসন ছাড়িয়া বাহিরে যাইবে না। ১৯। প্রত্যেকের সহিত সদ্ভাব রাখিয়া চলিবে। অগ্রজদের সম্মান করিবে এবং অনুজদের স্নেহ করিবে। সকলকে ভাল কাজে উৎসাহিত করিবে এবং মন্দ কাজে বাধা দিবে। ২০। কখনো অগ্রজদের সহিত বেয়াদবি করিবে না অনুজদের প্রতি কটু ব্যবহার করিবে না। ২১। প্রতিদিনের পাঠ শিখিয়া বিদ্যালয়ে আসিবে। কোনক্রমেই বাড়ির কাজ বিদ্যালয়ে করিতে পারিবে না। ২২। বিদ্যালয়ের অঙ্গন ও নিজেদের শ্রেণি কক্ষ নিজেরাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখিবে। ২৩। প্রত্যেক পিরিয়ডের পড়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করিবার জন্য খাতা কলম ও বই নিয়া বিদ্যালয়ে আসিবে। ২৪। পরীক্ষার সময় প্রয়োজনীয় উপকরণ সঙ্গে আনিবে। পরীক্ষার কক্ষে কোন অবস্থাতেই অন্যের কাছে কিছু চাওয়া যাইবে না। ২৫ । প্রথম সেমিস্টার, দ্বিতীয় সেমিস্টার ও তৃতীয় সেমিস্টার পরীক্ষার খাতা হাতে পাওয়ার ৩ দিনের মধ্যে অভিভাবককে দেখাইয়া তাঁহার স্বাক্ষর নিয়া বিষয় শিক্ষক/শিক্ষিকার নিকট জমা দিবে। ২৬। মানোন্নয়ন বিবরণী পত্র হাতে পাওয়ার ৩ দিনের মধ্যে অভিভাবকের স্বাক্ষর নিয়া শ্রেণী শিক্ষকের নিকট জমা দিতে হইবে। ২৭। নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসিবে। অসুস্থতার কারণে ৭ দিনের বেশী অনুপস্থিত থাকিলে মেডিকেল সার্টিফিকেটসহ দরখাস্ত করিবে। ২৮। অসুস্থতা ছাড়া অন্য কোন কারণে বিদ্যালয়ে আসার পর ছুটি দেওয়া হইবে না। জরুরী কারণে এই রূপ ছুটির প্রয়োজন হইলে দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক/শিক্ষিকার সুপারিশে প্রধান শিক্ষক থেকে ছুটি মঞ্জুর করিতে পারিবে। ২৯। মাসের বেতন মাসে পরিশোধ করিবে। বিলম্বে বেতন দেওয়ার জন্য জরিমানা মাফ করা হইবে না। ৩০। প্রতিটি বিষয়/পত্রে সর্বোচ্চ ১০টি ক্লাস নেওয়ার পর একটি শ্রেণি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হইবে। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে সব কয়টি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করিতে হইবে। প্রত্যেক পত্রের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত ডিমাই সাইজের বাঁধাই করা পৃথক পৃথক খাতা ব্যবহার করিতে হইবে এবং সংরক্ষণ করিতে হইবে। >>>>>>>>>সম্মানিত অভিভাবকগণের প্রতি
Copyright © 2014. All right reserved.
Developed by Artificial-soft